হবিগঞ্জে ব্রীজ ভেঙে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ, ভোগান্তিতে কয়েক লাখ মানুষ
ছবিঃ বিপ্লবী বার্তা

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে একটি ব্রীজ ভেঙ্গে পড়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে কয়েক উপজেলার মানুষ। গত শুক্রবার সকালে বানিয়াচং উপজেলার রত্না ব্রীজের স্টিলের ডেকিং ভেঙ্গে যাওয়ায় সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর ফলে বানিয়াচং, আজমিরীগঞ্জ ও নবীগঞ্জ উপজেলার কয়েক লাখ মানুষের ভোগান্তি  বেড়ে গেছে। এ অবস্থা আরো কয়েকদিন চলবে বলে জানা যায়।


হবিগঞ্জ-বানিয়াচং সড়কে রত্না নদীর উপর ১৯৯৪ সালে নির্মিত স্টিল ব্রীজ সেতুটি শুক্রবার সকাল ৭ টায় ভারী পাথর বাহি একটি ট্রাক পারাপারের সময় ৫টি ডেকিং ভেঙ্গে যায়। সেই সাথে পাথরবাহী ট্রাকটি আটকে যায়। খবর পেয়ে সড়ক ও জনপথের লোকজন সারাদিনে ট্রাকটি সরাতে সক্ষম হয়। ব্রীজটি ভেঙ্গে যান চলাচল বন্ধ হওয়ায় দূর্ভোগে পড়ে হাজার হাজার মানুষ। নৌকা দিয়ে নদী পার হয়ে  আবারও গাড়িতে উঠতে হচ্ছে। এরফলে যেমন সময় নষ্ট হচ্ছে তেমনি বেড়ে গিয়েছে পরিবহন খরচ। সবচেয়ে ভোগান্তীতে পড়েছে রোগীরা। জেলা সদরের সাথে সরাসরি গাড়ি যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে যাওয়ায় শাক সবজি , তরি-তরকারিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামও বেড়ে যাচ্ছে।


এদিকে শনিবার সকাল থেকে ব্রীজ মেরামতের কাজ শুরু করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের শ্রমিকরা। ব্রীজ মেরামতের শ্রমিকদের সর্দার ইউনুস মিয়া বলেন, 'আশা করি আগামী সোমবার সন্ধ্যায় কাজ শেষ করতে পারব।'


 

রত্না বাজারের প্রবীণ ব্যবসায়ী ডা. আদম আলী চৌধুরী বলেন, 'ব্রীজটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এটি ভেঙ্গে নতুন ব্রীজ নির্মানের দাবী দীর্ঘদিনের। ব্রীজ হবে, টেন্ডার হচ্ছে এই বলে বলে ৫/৬ বছর কাটিয়ে দেয়া হলো।'

 

চাকুরীজীবি সেকুল মিয়া বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরেই দেখছি, সাইনবোর্ডে লেখা আছে “ঝুকিপূর্ণ সেতু, ভারী যান চলাচল নিষেধ”।  কিন্তু এসব নিষেধ অমান্য করেই ভারী যানবাহন চলাচল করে।'

 

হবিগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, 'ব্রীজটি আগে থেকেই ঝুকিপূর্ণ ছিল। সেখানে লোক পাঠানো হয়েছে। দ্রুত কাজ চলছে। ২/১ মধ্যে কাজ শেষ করে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে।'