গাজীপুরে এক রাতে চার কৃষকের ১২ গরু চুরি, খামারি, কৃষক ও গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক
ছবিঃ বিপ্লবী বার্তা

গাজীপুরের শ্রীপুরে এক রাতে চার কৃষকের গোয়াল ঘর থেকে গর্ভবতী দুইটি গাভীসহ ১২টি গরু চুরি হয়েছে। এতে ওই কৃষকরা প্রায় ১১ লাখ ৯০ হাজার টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত পৌণে ১১ টা থেকে ভোর রাত ৪টার মধ্যে মাওনা ইউনিয়নের সিংগারদিঘী গ্রামে।


ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকেরা হলেন, মৃত নূরুল ইসলাম ভূঁইয়ার ছেলে শফিকুল ইসলাম বাবুল, মৃত আব্দুর রশিদ ভূঁয়ার ছেলে মাজহারুল ইসলাম লিটন, মৃত কলিম উদ্দিন সরকারের ছেলে এনামুল হক এবং গফুর আলীর ছেলে জামাল মিয়া।


মাজহারুল ইসলাম লিটনের গোয়াল ঘর থেকে আট মাসের গর্ভবতী লাল রঙের ১টি গাভী, দুই মাসের গর্ভবতী লাল রঙের ১টি গাভী, কালচে রঙের ১টি দেশী ষাড় এবং লাল রঙের সাত মাসের দেশী ষাড় বাছুর চুরি হয়। চুরি হওয়া গরুগুলোর মূল্য ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা। শফিকুল ইসলাম বাবুলের ৪টি গরু ষাঁড়, গাভী ও বকনা বাছুর চুরি হয়ে যায়, যার মূল্য প্রায় চার লাখ টাকা। এছাড়া এনামুল হকের দুটি ষাঁড় গরু এক লাখ টাকার এবং জামাল মিয়ার দুইটি গাভীর মূল্য এক লাখ ১০ হাজার টাকা।


স্থানীয় খামারি ও গ্রামবাসী বলেন, সম্প্রতি প্রতিনিয়ত গ্রামে গরু চুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। চোরেরা রাতে কোনো না কোনো কৃষকের বাড়ি বা খামারে হানা দিয়ে পিকআপে চুরি করা গরু নিয়ে যাচ্ছে। চুরির এই বৃদ্ধির কারণে খামারি ও কৃষকরা উদ্বিগ্ন। তারা চোরচক্রের সদস্যদের চিহ্নিত করতে ও চুরি হওয়া গরু উদ্ধারের জন্য থানার পুলিশকে সহযোগিতা কামনা করেছেন।


মাজহারুল ইসলাম লিটন বলেন, বুধবার রাত পৌণে ১১টায় বসতবাড়ীর পূর্ব পাশে গোয়ালঘরে থাকা গরুগুলো দেখার পর ঘুমিয়ে পড়ি। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে ঘুম থেকে উঠে দেখি গোয়ালঘরের দরজা খোলা এবং চারটি গরু নেই। অজ্ঞাত চোরেরা কৌশলে তালা খুলে গরুগুলো চুরি করে নিয়ে গেছে। পরদিন তিনি শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।


শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, একজন কৃষক লিখিত অভিযোগ করেছেন। পুলিশ চুরি যাওয়া গরু উদ্ধারে কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, কৃষকরা অনেক কষ্ট করে গরু লালন পালন করেন। গরু চুরি হয়ে গেলে তাদের জীবনযাত্রা সংকটাপন্ন হয়। তাই স্থানীয় খামারি ও গ্রামবাসীকে সতর্ক থাকতে এবং পুলিশ টহল বাড়ানো হয়েছে।