বঙ্গোপসাগরের ছোট্ট প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে আবারও প্রাণের স্পন্দন। দীর্ঘদিন পর সেখানে দেখা গেছে বিরল প্রজাতির কাঁটাযুক্ত পটকা মাছ, যা পরিবেশবিদদের কাছে জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধারের এক আনন্দবার্তা।
সেন্ট মার্টিনে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের উদ্যোগের সুফল ইতিমধ্যে মিলতে শুরু করেছে। সম্প্রতি ছেঁড়াদিয়া সৈকতে জোয়ারের পানিতে আটকে পড়া মাছটি দেখে হতবাক হন পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান। তিনি বলেন, “এই মাছের উপস্থিতি দেখাচ্ছে দ্বীপের প্রকৃতি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে।”
সরকারের তিন বছর মেয়াদি প্রকল্প ‘সেন্ট মার্টিন দ্বীপের জীববৈচিত্র্য ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় অভিযোজন প্রকল্প’–এর আওতায় চলছে প্রবাল সংরক্ষণ, কেয়াবাগান সৃজন, কাছিমের প্রজনন এলাকা রক্ষা ও স্থানীয়দের সচেতনতা বৃদ্ধি কার্যক্রম।
গবেষকদের মতে, এই মাছের বৈজ্ঞানিক নাম Diodon holocanthus, যাকে দীর্ঘ কাঁটাযুক্ত পোর্কুপাইন ফিশও বলা হয়। এরা সাধারণত প্রবালপ্রাচীর ও উষ্ণ উপকূলীয় এলাকায় বাস করে। মাছটি নিজেকে রক্ষায় বাতাস গিলে শরীর ফুলিয়ে নেয় যা সেন্ট মার্টিনে আগে দেখা যায়নি।
পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, 'সেন্ট মার্টিনে ১,০৭৬ প্রজাতির প্রাণী রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দূষণ কমানো, প্লাস্টিক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা এবং পর্যটক সীমিতকরণের ফলে দ্বীপের প্রতিবেশে ফিরছে ভারসাম্য।'
বিশেষজ্ঞদের মতে, “কাঁটাযুক্ত পটকা মাছের উপস্থিতি কেবল এক বিরল আবিষ্কার নয়। এটি সেন্ট মার্টিনের প্রকৃতিতে নতুন আশার আলো।”

