নিউজ ডেস্ক
কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, সার আমদানিতে সব সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, বৈশ্বিক মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এখন থেকে সার আমদানি হবে, ফলে দেশের কৃষক চাহিদা অনুযায়ী সার পেতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে গত এক বছরের সাফল্য, অর্জন ও অগ্রগতি বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
উপদেষ্টা বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ের বকেয়া সার পরিশোধ করে চাহিদামত সার সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। দেশের কোনো স্থায়ী সার ঘাটতি নেই, এবং আগামী মৌসুমেও ঘাটতি এড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ একটি কৃষিনির্ভর দেশ। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, কৃষকের জীবনমান উন্নয়ন এবং কৃষিকে আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর খাতে রূপান্তর করা ছিল সরকারের অগ্রাধিকার। গত এক বছরে কৃষি মন্ত্রণালয় এই লক্ষ্য সামনে রেখে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে এবং তা এখনও চলমান রয়েছে। দেশে ধান, গম, ভুট্টা, ডাল, তেলবীজ এবং শাক-সবজি উৎপাদনে ধারাবাহিক সাফল্য অর্জিত হয়েছে। ফলমূল উৎপাদনেও ইতিবাচক বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে।
গত বছরের আগস্টে দেশের ২৩টি জেলায় মারাত্মক বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। কিন্তু সময়মত বীজ, সার ও প্রণোদনা প্রদানের মাধ্যমে কৃষকরা সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছেন। বিশেষ করে গত বোরো মৌসুমে ১৫ লক্ষ টন ধান লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি উৎপাদন হয়েছে।
উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আশা প্রকাশ করেন, কৃষি খাতের উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এভাবে ধারাবাহিকভাবে চলবে।
