 
      রসিকতা করে অনেকেই বন্ধু-বান্ধবকে ‘বাঁশ’ দিতে চান। তবে আজ সত্যিই প্রিয়জনকে বা কাছের বন্ধুকে উপহার দিতে পারেন বাঁশ অথবা বাঁশের তৈরি পণ্য। কারণ আজ বিশ্ব বাঁশ দিবস।
প্রতি বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর দিবসটি পালিত হয়। বৈশ্বিকভাবে বাঁশ শিল্পকে উন্নত করার লক্ষ্যে ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্ব বাঁশ সংস্থা। ২০০৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অষ্টম বিশ্ব বাঁশ কংগ্রেস চলাকালে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায় বিশ্ব বাঁশ দিবস। বাঁশ দিবস ২০২৫-এর থিম নির্ধারিত হয়েছে ‘নেক্সট জেনারেশন ব্যাম্বো: সলিউশন, ইনোভেশন অ্যান্ড ডিজাইন’। এই থিমের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে বাঁশের সৃজনশীল ব্যবহার ও উদ্ভাবনের দিকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
সাধারণ ধারণার বিপরীতে, বাঁশ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আসবাবপত্র, গৃহস্থালি সামগ্রী, খাদ্যদ্রব্যসহ নানা পণ্যে বাঁশ ব্যবহার হয়ে থাকে। এছাড়া, বাঁশ শিল্প এখন কোটি টাকার ব্যবসার সম্ভাবনা তৈরি করেছে।
বিশ্বব্যাপী বাঁশ শিল্পকে সমর্থন করতে ২০০৫ সালে বিশ্ব বাঁশ সংস্থা (World Bamboo Organization) প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ব্যাংককে অনুষ্ঠিত অষ্টম বিশ্ব বাঁশ কংগ্রেসের সময় আনুষ্ঠানিকভাবে এই দিনটি বিশ্ব বাঁশ দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পায়। কংগ্রেসে প্রায় ১০০ দেশের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন এবং প্রস্তাবের পক্ষে সম্মত হন সংস্থার সভাপতি কামেশ সালাম।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO) অনুযায়ী, বিশ্বের সর্বাধিক বাঁশ প্রজাতি চীনে (৫০০ প্রজাতি) পাওয়া যায়। এরপর অবস্থান করছে ব্রাজিল (২৩২ প্রজাতি)। বাংলাদেশ রয়েছে ৩৩ প্রজাতির বাঁশ নিয়ে তালিকার অষ্টম স্থানে।
বিশ্ব বাঁশ দিবসের মূল লক্ষ্য হলো মানুষকে এই বহুমুখী উদ্ভিদ সম্পর্কে জানানো এবং তার সৃজনশীল ও টেকসই ব্যবহারের গুরুত্ব তুলে ধরা।
 নিউজ ডেস্ক
                     নিউজ ডেস্ক 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                
