 
      "এক বছর নয়, সারাজীবন শিবিরের সঙ্গে কাজ করতে চাই।” ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফাতেমা তাসনিম জুমার এই মন্তব্য এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে যখন পুরো ক্যাম্পাস সরগরম, ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ থেকে প্রার্থী হয়ে আলোচনায় এসেছেন জুমা।
জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় অংশগ্রহণের কারণেই আগে থেকেই পরিচিত ছিলেন জুমা। আর এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ‘মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক’ পদে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জুমা বলেন, “ছাত্রশিবির ইসলামিক রাজনীতি করলেও যারা হিজাব পরে না, তাদের খাটো দেখে না এমনকি কখনো হিজাব পরতে বাধ্যও করে না।”
জুমা আরও বলেন, “আমি প্রায় এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ছাত্রশিবিরের সঙ্গে চলাফেরা করছি। তাদের কোনো কথা বা কাজে বিদ্বেষ দেখিনি। বরং দেখেছি, তারা নারীর প্রতি যথেষ্ট সম্মানজনক।”
তার এই অবস্থানকে ঘিরে ক্যাম্পাসজুড়ে শুরু হয়েছে তুমুল আলোচনা। সমর্থকদের মতে, নারী প্রার্থী হিসেবে জুমার অংশগ্রহণ এক দৃষ্টান্ত। অন্যদিকে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছেন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক পদে শিবিরপন্থী প্রার্থীর উপস্থিতি কতটা গ্রহণযোগ্য।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ৩৪ বছর পর আগামী ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ডাকসু নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনের আগমুহূর্তে জুমার অঙ্গীকার তাকে পরিণত করেছে নির্বাচন অঙ্গনের সবচেয়ে আলোচিত মুখে।
 নিউজ ডেস্ক
                     নিউজ ডেস্ক 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                
