 
      আন্তর্জাতিক গৃহশ্রমিক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক পরামর্শ সভায় বক্তারা বলেন, গৃহশ্রমিকদের সাপ্তাহিক, মাতৃত্বকালীন ও অসুস্থতাজনিত ছুটি আইনে অন্তর্ভুক্ত করা এখন সময়ের দাবি। তাঁদের মতে, শ্রম আইনের আওতায় গৃহশ্রমিকদের আনতে হলে এ ছুটিগুলো বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং নীতিমালাকে আইনি রূপ দিতে হবে।
আজ রোববার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অক্সফাম বাংলাদেশের সহযোগিতায় বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্র (বিএনএসকে) এ সভার আয়োজন করে। সভার আগে প্রেসক্লাবের বাইরে রূপগঞ্জ, চনপাড়া, মোহাম্মদপুর, কল্যাণপুর ও সাভার থেকে আসা প্রায় ৪০ জন গৃহশ্রমিক অংশ নেন এক শোভাযাত্রা ও মানববন্ধনে।
সভায় বক্তারা ‘গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি ২০১৫’-এর দ্রুত বাস্তবায়ন এবং আইনগত স্বীকৃতি দেওয়ার ওপর জোর দেন। শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান ও বিলস নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ প্রধান অতিথির বক্তব্যে জানান, আগামী জুলাই মাসে শ্রম আইন সংশোধন করা হবে। তার আগে গৃহশ্রমিকদের অধিকারের বিষয়ে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ডোমেস্টিক ওয়ার্কার্স নেটওয়ার্কের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আবুল হোসেন, শ্রম সংস্কার কমিশনের সদস্য এ টি এম নাসিম, নারী কমিশনের সদস্য হালিদা হানুম আখতার, অক্সফামের খাদিজা আক্তার অন্তরা এবং বিএনএসকে’র নির্বাহী পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
সভাপতিত্ব করেন গৃহকর্মী নারী ফোরামের সদস্য পান্না বেগম ও শিউলি বেগম। মুক্ত আলোচনায় গৃহশ্রমিকেরা বলেন, তাঁদের ছুটি, নিরাপত্তা ও কল্যাণের নিশ্চয়তা থাকা উচিত। তাঁরা ‘গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি ২০১৫’-কে আইনে পরিণত করার জোর দাবি জানান।
 নিজস্ব প্রতিবেদক
                     নিজস্ব প্রতিবেদক 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                
