 
      জুলাই গণ‑অভ্যুত্থান বর্ষপূর্তির দিন রাজধানীর শাহবাগ চত্বরে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের এক শানিত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আজ বেলা আড়াইটার দিকে শুরু হওয়া এই সমাবেশে কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট বলেন, ‘বাংলাদেশে যেন কারো পক্ষে ছাত্রদলকে থামিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়—সেই ক্ষমতা দেশের এমন কোনো পক্ষের নেই।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘যারা দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে ছাত্রদল সম্পূর্ণ প্রস্তুত—চাইলে তার ষড়যন্ত্রের বিষদাঁত পর্যন্ত উপড়ে ফেলতে পারে। যদি তারেক রহমান নির্দেশ দেন, ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা দেশে ব্যাপক অবরোধ আন্দোলন শুরু করার সক্ষমতা রাখে।’
সমাবেশে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, এবং বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া কেন্দ্রীয় পর্যায়ের আরও কয়েকজন নেতা ও পুরানো নেতা-কর্মীরাও মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন, যেখানে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী ও সুলতান সালাউদ্দিন অবস্থান গ্রহণ করেছেন। সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলও এ সমাবেশে আছেন। মঞ্চে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করছেন সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন।
সমাবেশস্থলে সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলাভিত্তিক একাধিক ইউনিট থেকে নেতা-কর্মীরা পৌঁছাচ্ছেন। টিএসসি’র দিকে মুখ করে একটি মঞ্চ ধ্বংস করা হয়েছে, আর বহু কর্মী মাথায় ও কপালে জাতীয় ও দলীয় পতাকা বেঁধে, ব্যান্ড পড়া অবস্থায় অংশ নিচ্ছেন। মোড়া-হাতা স্লোগানে অনুপ্রাণিত সমাবেশের কর্মীরা একযোগে এ বক্তৃতার প্রেক্ষিতে “মা‑মাটি ডাকছে, তারেক ইসলাম আসছে”, “তারেকের ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি না”, “তারেক রহমান বীরের বেশে, ফিরেই আসবে বাংলাদেশে”–এর মতো উচ্ছ্বসিত স্লোগান দিচ্ছেন।
 নিজস্ব প্রতিবেদক
                     নিজস্ব প্রতিবেদক 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                
