 
      সাবেক সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ ও কলাম লেখক গোলাম মাওলা রনি সম্প্রতি এক ভিডিওবার্তায় বলেন, বর্তমান সময়ের রাজনীতিতে ‘ডাস্টবিন’ শব্দটি ভীষণভাবে মিলে যাচ্ছে। বিভিন্ন মানুষকে অপমান করার ক্ষেত্রে এখন এই শব্দটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কেউ কাউকে অপছন্দ করলে তার নামের সঙ্গে ‘ডাস্টবিন’ জুড়ে দেওয়া হচ্ছে, যেমন—অমুক না, ডাস্টবিন তমুক না ডাস্টবিন।
তিনি বলেন, এই প্রবণতা শুধু দেশের ভেতরেই সীমাবদ্ধ নয়, প্রবাসী বাঙালিদের মধ্যেও ব্যাপকভাবে দেখা যাচ্ছে। এসব শব্দ ও স্লোগানের পেছনের মনস্তত্ত্ব বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায়, আগামী দিনের রাজনীতি কোন পথে এগোবে।
রনি জানান, ‘ডাস্টবিন’-এর পর আরেকটি প্রচলিত শব্দ হলো ‘সান্ডা’। মরু অঞ্চলের একটি প্রাণী ‘সান্ডা’ দেখতে খুবই বিশ্রী, টিকটিকি বা গুইসাপের মতো হলেও একেবারেই আলাদা। আরব দেশে এটি হালাল হিসেবে খাওয়া হলেও আমাদের সমাজে এর রূপ-স্বরূপকে ঘৃণার প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এখন কেউ পছন্দ না হলে তাকে স্যান্ডার সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আরেকটি শব্দ হলো ‘নিমডা’, যা এসেছে বাহুবলী সিনেমা থেকে। এর মানে—তোমাকে মেরে ফেলব, ফিনিশ করে দেব। এই শব্দটিও এখন রাজনীতিতে স্যাটায়ার ও ব্যঙ্গ হিসেবে জনপ্রিয়।
উদাহরণ হিসেবে রনি বলেন, ঢাকার দক্ষিণ সিটির মেয়র পদে ইশরাক হোসেন আন্দোলন করছেন। সরকার শপথ না পড়ালে তিনি নিজেই শপথ নেবেন বলে জানিয়েছেন। এর পর থেকেই তার বিরোধীরা ‘নিমডা’ ডায়লগটি ব্যবহার করে তাকে ব্যঙ্গ করছে।
রনি মন্তব্য করেন, আজকের রাজনীতির এই স্লোগান ও শব্দচয়ন দেখে আগামী পাঁচ-দশ বছরের রাজনীতির মানচিত্র আঁকা সম্ভব। ভাষার এই ব্যবহার এখন রাজনীতির পরিচয় বহন করছে।
 নিজস্ব প্রতিবেদক
                     নিজস্ব প্রতিবেদক 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                
