 
      মাদারীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব মাসুম বিল্লাহর ওপর হামলার ঘটনায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মাদারীপুর জেলা ও সদর উপজেলা সমন্বয় কমিটি স্থগিত করেছে। বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এনসিপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর শাখার যুগ্ম সদস্যসচিব সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে মাদারীপুর জেলা কমিটির সদস্য আবদুল্লাহ আদিল (টুটুল) ও রাতুল হাওলাদারকে সংগঠনের সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কমিটি স্থগিতের সিদ্ধান্তের মাত্র আধা ঘণ্টা আগেই এই বহিষ্কারের ঘোষণা আসে।
এ দুটি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর অনুমোদনে কমিটি স্থগিত করা হয়। পরে কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেনের নির্দেশে এই ঘোষণা কার্যকর করা হয়।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশের তথ্যমতে, বুধবার বিকেলে মাদারীপুরের ভূঁইয়া কমিউনিটি সেন্টারে এনসিপির কর্মিসভায় যোগ দেন মাসুম বিল্লাহ। সেখানে উপস্থিত কিছু এনসিপি সদস্য তাঁর ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা অভিযোগ করেছেন, মাসুম বিল্লাহকে কেন্দ্র করে এনসিপির সদ্য গঠিত কমিটি নিয়ে জেলা পর্যায়ে বিরোধ তৈরি হয়। মাসুম ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের বাদ দেওয়ায় তিনি এবং আহ্বায়ক নেয়ামত উল্লাহসহ কয়েকজন ৩১ সদস্যের জেলা কমিটি প্রত্যাখ্যান করে ২৬ সদস্যের পৃথক উপজেলা কমিটি ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। সদ্য স্থগিত হওয়া জেলা কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী মো. হাসিবুল্লাহ বলেছেন, যেই অপরাধ করুক, তার বিচার হওয়া উচিত। তবে কাউকে রাজনৈতিকভাবে অপমান করা উচিত নয় বলেও তিনি মত দেন।
 নিজস্ব প্রতিবেদক
                     নিজস্ব প্রতিবেদক 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                
