ছবিঃ বিপ্লবী বার্তা
দেশের সীমান্তঘেষা জেলা কুড়িগ্রামে গত দুই দিন ধরে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। এতে জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে শিশু-বৃদ্ধসহ নিম্ন আয়ের মানুষজন। প্রভাব পড়েছে গবাদিপশুর ওপরও। ঘন কুয়াশায় দিনের বেলাতেও যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।
উত্তরের হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশার কারণে সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। এতে শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষের কষ্ট বেড়ে গেছে।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানিয়েছে, জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিনও তাপমাত্রা কাছাকাছি ছিল ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কুড়িগ্রামের ১৬টি নদনদীর তীরবর্তী প্রায় সাড়ে চার শতাধিক চরাঞ্চলে শীতের তীব্রতা কয়েক গুণ বেশি। এসব এলাকার বেশিরভাগ বাসিন্দা হিমেল হাওয়ায় ঘরবন্দী হয়ে পড়েছেন। শীতের কারণে দিনমজুরদের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম আর্থিক সংকটে পড়েছেন তারা।
দিনমজুর আমিন মন্ডল (৭৫) বলেন, “আমরা গরীব মানুষ। ঘরে পরার মতো মোটা কাপড় নাই, কম্বলও নেই। রাতে ঘুমাইতে গেলে ঠান্ডায় শরীর জমে যায়। ঠান্ডার কারণে কাজে যেতে পারিনি। পাতলা একটা চাদর দিয়ে কোনো রকম চলতেছি।”
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, “এখন যতই দিন যাচ্ছে, ততই ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডার তীব্রতা বাড়ছে। ডিসেম্বরের ১৫ তারিখের পর জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”

