ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় কুড়িগ্রামে শীতের তাণ্ডব
ছবিঃ বিপ্লবী বার্তা

কুড়িগ্রামে গত দুই সপ্তাহ ধরে শীতের তীব্রতা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষজন। ঘন কুয়াশার কারণে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। উত্তরের হিমেল হাওয়ায় সন্ধ্যা থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে, যা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে ফেলেছে শিশু, বয়স্ক ও খেটে খাওয়া মানুষদের।


শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুয়াশা আরও বাড়লে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে তারা।


জেলার ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার ও বারোমাসিয়া নদী তীরবর্তী প্রায় ১৬টি নদনদীর বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে শীতের প্রকোপ কয়েকগুণ বেশি। এসব এলাকার শতাধিক চরবাসী হিমেল বাতাসের কারণে প্রায় ঘরবন্দী হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে বৃদ্ধ, শিশু ও দিনমজুররা হচ্ছেন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। শীতের তীব্রতায় অনেক দিনমজুর এখন কাজে যেতে পারছেন না, ফলে তাদের সংসারে নেমেছে চরম দুর্দশা।


কুরুষাফেরুষা এলাকার বাসিন্দা আব্দুল জলিল বলেন, “আমরা গরিব মানুষ। ঘরে পরার মতো মোটা কাপড় নাই। রাতে ঘুমাইতে গেলে শরীর ঠান্ডায় জমে যায়। তার পরেও সকালে কাজের সন্ধানে বের হতে হয়।”


পূর্ব ফুলমতি এলাকার নজরুল ইসলাম বলেন, “শীতের সময় আমাদের কষ্ট আরও বেড়ে যায়। কোনও রকমে দিন চলে।”


রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া ও পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, “আজ জেলায় তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। কুয়াশা বাড়ার সাথে সাথে তাপমাত্রা আরও কমবে এবং শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেতে পারে।”