ফরিদপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সহিংস সংঘর্ষে শতাধিক আহত
ছবিঃ বিপ্লবী বার্তা
ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। এসময় বেশ কয়েকটি বসতবাড়ি ও দোকানপাটে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে।


শনিবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ৭টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত টানা চার ঘণ্টা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বালিয়াগট্টি বাজার এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।


পুলিশ ও স্থানীয়দের তথ্যমতে, ইউনিয়নের প্রভাবশালী দু’জন মাতব্বর নুরু ও জাহিদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। দু’জনই ফরিদপুর-২ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকুর অনুসারী।


শনিবার সকালে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র—ঢাল, সরকি, ইট-পাটকেলসহ সংঘর্ষে জড়ায়। পরবর্তীতে আশপাশের আরও কয়েকটি গ্রামের লোকজনও এতে অংশ নেয়। পরিস্থিতি দ্রুত জটিল হয়ে উঠলে দুই পক্ষেরই অন্তত ১০০ জন আহত হন। অনেক আহত ব্যক্তিকে বাড়িতেই আটকা থাকতে হচ্ছে বলে জানা গেছে।


হাবেলী গট্টি গ্রামের বাসিন্দা আলেপ শেখ নুরু গ্রুপের সমর্থক। সংঘর্ষে আহত হয়ে তিনি বাড়িতে আটকা রয়েছেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার স্বজন কবির হোসেন বলেন, “আমার শ্বশুর বৃদ্ধ মানুষ, ঘরে বসে থাকতেই তার পায়ে একাধিক কোপ পড়ে। এখনো তাকে বের করে আনতে পারছি না।”


অন্যদিকে জাহিদ গ্রুপের পক্ষে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালামের নেতৃত্বে বালিয়া বাজার সংলগ্ন ওমর ফারুক নামে এক ব্যক্তির পাঁচটি গরু লুট করার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। দুপুর পর্যন্ত সংঘর্ষ অব্যাহত ছিল।