গাজীপুরের শ্রীপুরে স্বামীর স্বীকৃতি ও ভরণপোষণ দাবি করায় এক তরুণী এবং তার নানীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রাতে ভুক্তভোগী মোছাঃ জান্নাত (২০) শ্রীপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক বছর ধরে দরগারচালা এলাকার মোঃ করিম (৩২) জান্নাতকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। প্রস্তাবে সাড়া না দিলে করিম তাকে নানা সময় ভয়ভীতি দেখাতেন। পরে সামাজিক চাপে এবং করিমের চাপাচাপিতে প্রায় ১০ মাস আগে জান্নাত বিয়েতে রাজি হন।
কিন্তু বিয়ের পর করিম তাকে ঘরে তুলে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি বারবার এড়িয়ে যান। পরে জান্নাত নিশ্চিত হন, করিম এখনো তার আগের স্ত্রী মোছাঃ রিপা (২৮)-কে তালাক দেননি এবং একই ছাদের নিচে সংসার চালাচ্ছেন। এ বিষয়ে জান্নাত প্রতিবাদ করলে করিম ও রিপা দু’জনই তাকে হত্যা ও মিথ্যা মামলার হুমকি দিতে থাকে।
গত ২২ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে করিম ও রিপা মিলে জান্নাতের বাড়িতে গিয়ে তাকে অশ্রাব্য গালিগালাজ করে এবং করিমকে ‘স্বেচ্ছায় তালাক’ দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। জান্নাত অস্বীকৃতি জানালে বিবাদীদ্বয় এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে তাকে আহত করে। এক পর্যায়ে করিম জান্নাতের গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধের চেষ্টা করে।
জান্নাতকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তার নানী তাছলিমা (৬৩)-কেও মারধর করা হয়। এতে তার মুখে আঘাত লাগে এবং সামনের দাঁত নড়বড়ে হয়ে রক্তাক্ত জখম হয়। হামলার সময় করিম জান্নাতের ব্যবহৃত রেডমি মোবাইল (মূল্য আনুমানিক ১৩,৫০০ টাকা) ছিনিয়ে নেয়।
ভুক্তভোগীরা চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে বিবাদীদ্বয় প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে স্থান ত্যাগ করে। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে জান্নাত থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে করিমের সাথে যোগাযোগ করলে করিম বলেন, 'আমার নামে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।'
শ্রীপুর মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মহম্মদ আব্দুল বারিক পিপি এম বলেন, 'অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

