
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের আজ দ্বিতীয় দিন পার হলো। গতকালের উত্তাল পরিস্থিতির পর আজও দিনভর নানা ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা নতুন উদ্যমে তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিবাদ সমাবেশ এবং অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে তারা দাবি আদায়ে অনড় রয়েছেন। পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল আকার ধারণ করছে এবং এই অচলাবস্থা কতদিন চলতে থাকে, সেদিকে সবার দৃষ্টি। আর আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি কোন দিকে মোড় নেয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
তিন দফা দাবি আদায়ে গতকাল বুধবার (১৪ মে) প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে লং মার্চ কর্মসূচি শুরু করেছিলেন জগন্নাথের শিক্ষার্থীরা। দুপুরে লং মার্চটি কাকরাইলে পৌঁছালে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ার শেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করে। তখন থেকেই কাকরাইল মোড়ে অবস্থান নিয়ে আছেন শিক্ষার্থীরা। আজ দ্বিতীয় দিনেও অবস্থানে অটল আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের এই অবস্থানের কারণে সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে থাকেন। শিক্ষার্থীরা বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাকরাইল মোড়ে বাড়ে জবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান। সকাল থেকেই বাসে করে আসেন শিক্ষার্থীরা। এতে করে আরও জোরদার হয় আন্দোলন।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই নির্দিষ্ট সময় পর পর একে একে কাকরাইল মোড়ে প্রবেশ করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস। শিক্ষার্থীরা নেমেই যোগ দিচ্ছেন আন্দোলনে। সহপাঠীদের আগমনের জয়ধ্বনি দিচ্ছেন অন্য শিক্ষার্থীরাও।
দিনভর অবস্থান কর্মসূচিতে অনড় ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ফলে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে ছাতা মাথায় দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যান তারা। থেমে থেমে বৃষ্টি হলেও তাতে কোনও ভ্রুক্ষেপ ছিল না আন্দোলনকারীদের। এককথায় বৃষ্টিভেজা আন্দোলনের চিত্র দেখা গেছে।
কেউ কেউ ছাতা মাথায় দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন, কাউকে আবার বৃষ্টিতে ভিজেই আন্দোলন চালিয়ে যেতে দেখা গেছে। সবাই দাবি আদায়ের পক্ষে স্লোগান দেন।